ঠাকুরগাঁওয়ে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ  জনজীবন।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

তীব্র তাপদাহ আর অতিষ্ঠ গরমে ঠাকুরগাঁও জেলার  গ্রামীণ জনজীবন। প্রচন্ড তাপ মাত্রার কারনে বেশ কিছুদিন যাবত তাপদাহের কবলে পুড়ছে ঠাকুরগাঁও জেলার অঞ্চলের মানুষ। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের জনজীবন ওষ্ঠাগত।আশ্বিন মাস পড়লেও গত কয়েকদিন যাবত বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচন্ড খরতাপে আর ভ্যাপসা গরমে ঘর থেকে বের হতে হিমশীম খাচ্ছে শ্রমিক দিনমজুর সহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। সামান্য স্বস্তির ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছাঁয়াতলে।
আর অতিরিক্ত গরমে শরীরকে একটু শীতল করতে বিভিন্ন শরবত ও ঠান্ডা পানীয়র খোঁজে তৃষ্ণার্ত মানুষ ব্যাকুল হয়ে ছুটছে। এ তাপদাহ আরো কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঠাকুরগাঁও জেলায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯- ৩৬ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। গ্রীষ্মের এই তাপদাহ মানুষের মধ্যে তৈরি করেছে ব্যাপক অস্বস্তি। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ সহ সকল প্রাণী! গরম আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের দম যাই যাই অবস্থা। একটু শীতল পরশ ও ঠান্ডা পানির জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ।এদিকে আমন ও ফুলকপি চাষ করে পানির অভাবে বিপাকে পড়েছেন কৃষক, যার ফলে আমনের মাঠ ফেটে যাচ্ছে। কৃষক রশিদুল ইসলাম  (৫৯)জানান , আমি ৩বিঘা ধান চাষ করেছি কিন্তু আশ্বিন মাসে পানি না হওয়ায় সেলো মেশিনের সাহায্যে খেতে পানি নিতে হচ্ছে । আবার কোথাও কোথাও  গভীর নলকূপ কিংবা যান্ত্রিক চালিত পাম্পের সাহায্যে ক্ষেতে পানি নিতে হচ্ছে। এরুপ চলতে থাকলে লাভের পরিবর্তে লোকসানের প্রহর গুনতে হবে। বিদ্যালয় গুলো ঘুরে দেখা যায় তীব্র গরম আর ঘনঘন লোডশেডিং এর কারণে শ্রেণি কক্ষে টিকে থাকতে পারছেনা, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান জানান,  হরিপুর উপজেলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মসলিম উদ্দীন জানান, প্রচন্ড গরম আর ভ্যাপসা গরমের কারণে অনেক অবিভাবক বাচ্চাদের বিদ্যালয় পাঠাচ্ছেন না তাই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কমে গেছে। দিনমুজুর প্রফুল্ল জানায়, আমি একজন দিন মুজুর মানুষের বাসায় কাজ করি বর্তমানে ফুলকপির আগাছা নিড়ানির কাজ চলছে কিন্তু প্রচন্ড রোদ আর ভেপসা গরমে মাঠে টিকে থাকা দায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। ভ্যান চালক সাইফুল জানায় আগে প্রতিদিন যদিও ৪০০-৫০০টাকা ইনকাম হতো প্রচন্ড গরমে যাত্রীরা ভ্যানে চড়তে চায় না তাই আগের তুলনায় ভাড়া কম হয়, যা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পল্লী চিকিৎসক ডা: ইসলাম জানান, এই ভ্যাপসা গরমে সাধারণত ছোট বড় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। তাই এসময় পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপদ পানি, জুস, আখের রস, ডাবের পানি পান করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *