নিজস্ব প্রতিবেদক
সাভারে ক্রস ফায়ারের নামে ৮ বছর পূর্বে পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম নয়নকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদনটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় জনতা, বিএনপি নেতাকর্মীরা ও নয়নের স্বজনরা সাভার বাসস্ট্যান্ডে এক মানব বন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ওবায়দুর রহমান অভি, সাভার সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ইউসুফ, পৌর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাভার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন, নিহত যুবদল নেতার সহোদর সাবেক দুই ছাত্রদল নেতা আহসান উল্লাহ খোকন ও মাসুদ আলম লিটন, সাবেক ছাত্রদল নেতা নাঈমুল ইসলাম নঈম, পৌর শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ।মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, শাহ আলম নয়ন ছিলেন এলাকার জনপ্রিয় একজন যুবনেতা। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকালে ছাত্র নেতা হিসেবে তার রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল। তিনি ছিলেন সাভার পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তীতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচিতে সরব ছিলেন তিনি। যার ফলে সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে তাকে ক্রস ফায়ারের নামে নির্মমভাবে হত্যা করে।তারা বলেন, সরকার হিংসাপরায়ন হয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে। ফলে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। সাভার মডেল থানা পুলিশের এস আই তন্ময় বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে আটক করে ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কয়েক দফায় প্রায় ১০ লাখ টাকা আদায় করে। তারপরও তাকে হত্যা করে।এ বিষয়ে আদালতে ইতোমধ্যে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে যা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। তদন্তের পরে আবেদনটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হবে বলে বুধবারে পিআইবি সুত্র জানিয়েছে। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা শাহ আলম নয়ন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দাবি পুলিশ সদস্য ও জড়িত অন্যান্যদের বিচার দাবি করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শাহ আলম নয়ন হত্যাকাণ্ডে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান জড়িত। মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। কারণ তিনি তখন মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়ে ৫ জনকে ক্রসফায়ারে দিয়েছি বলে স্বীকার উক্তি দিয়েছিলেন। এতে প্রমাণিত হয় তিনি শাহ আলম নয়নকে পুলিশের মাধ্যমে হত্যা করিয়েছেন।এ ছাড়া মামলার আর্জিতে তৎকালীন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, ওসি এস এম কামরুজ্জামান, ওসি (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান, এস আই তন্ময় বিশ্বাস, এ এস আই আহসান কবির ও কনস্টেবল মামুনকে আসামি করা হয়েছে।