বিশেষ প্রতিনিধি : মোঃ তালাত মাহামুদ
বুধবার (২ অক্টেবর) বিকেল শোয়া চারটার দিকে আইনজীবী সমিতি ভবনে সমিতির সভাপতি এডভোকেট কাজী নাজমুল ইসলামের কক্ষে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন, এডভোকেট হাসান আল মামুন, এডভোকেট মোহাম্মদ আলী টুটুল, এডভোকেট আল আমিন, এডভোকোট আনিস এবং এডভোকেট নাসরিন আক্তার। ঘটনার পরই আইনজীবী সমিতিতে ভিড় করে অন্যান্য আইজিবীরা । এসময় তারা জানায়, বিকেলে হঠাৎ করে একদল দুবৃত্ত জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় সমিতি সভাপতির কক্ষে হামলা চালায়। এসময় অন্যান্য আইনজীবীদের সাথে কক্ষে বসে ছিলেন সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল। সমিতির সভাপতিকে বাঁচাতে অন্যান্য আইনজীবীরা ঘিরে ধরলে তাদের ওপর চড়াও হয় দুবৃত্তরা । এসময়, সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম নিরাপদে বের হতে পারলেও দুবৃত্তদের আঘাতে আহত হয় সাথে থাকা ৫ আইনজীবী।জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল অভিযোগ করে বলেন , জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে অন্তত ৩০ জনের একটি দল হামলা করে। তাদের সাথে আমার ব্যাক্তিগত শত্রুতা নেই। কি কারনে এই হামলা হয়েছে তা আমি নিজেও জানিনা। হামলায় আহত এডভোকেট হাসান আল মামুন বলেন, কি কারনে হামলা হয়েছে তা বলতে পারছিনা৷ দুবৃত্তরা আমাকে হঠাৎ করে এসে কিল ঘুষি শুরু করে। আমি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। আরো জানা যায় এ ব্যাপারে দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছে এবং ভিডিও করার অভিযোগে কাজী নাজমুলের ছোট ভাই অ্যাডভোকেট তার সাঙ্গপাঙ্গরা সাংবাদিকদের দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় একটি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। আইনজীবী সমিতিতে উভয়পক্ষের মাঝে হাওয়া পাল্টা দেওয়া হয় । ছাত্রদল সভাপতি নাহিদ রক্ত যখম হয় ।এ ব্যাপারে ছাত্রদল সভাপতি নাহিদ বলেন শাওন হত্যার বাঁদিকে আইনজীবীরা অপহরণ করে সভাপতি এডভোকেট কাজী নাজমুলের রুমে রেখেছে এমন খবর পেয়ে আমরা সত্যতা যাচাই করতে আসি । এসে বাঁদিকে আমরা আইনজীবী সভাপতির সভাপতি কার্যালয়ে দেখতে পাই। এবং তার কাছ থেকে মামলা চালাবে না এই মর্মে মুচলেকা নেওয়া লেখা ফাইলটি আমরা উদ্ধার করি এ সময় উভয় গ্রুপের মাঝে ,ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় আমি সহ সাংবাদিক আইনজীবী যুবদল ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ আহত হয় এবং আইনজীবী ও আহত হয়। এ ব্যাপারে শাওন হত্যার বাদী অলিউল্লাহ বলেন আমাকে এখানে জোর করে আনা হয়েছে ভিডিও সাক্ষাৎকার দিতে বললে সে দূরত্ব মানুষের ভিড়ে পালিয়ে যায় ।