সাভারের কাউন্দিয়ায় জমি সংক্রান্ত জেরে ছোট ভাইয়ের বউকে পিটিয়ে আহত।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সাভার থানার কাউন্দিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত শাপলা রোডে গত ২২ শে মে রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় জমি জমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া ভুক্তভোগী ইয়াসমিনের ভাসুর কাউন্দিয়া নিবাসী খালেক মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ আলী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইয়াসমিনের
অনুপস্থিতিতে কাউন্দিয়া ফাঁড়ির ৪ জন পুলিশ নিয়ে ইয়াসমিনের বাড়িতে যায় এবং পরবর্তীতে কাউন্দিয়া মসজিদ কমিটির ১০/১২ জন লোক ডেকে এনে ইয়াসমিনের রুমের তালা ভেঙ্গে রুমে অনুপ্রবেশ করে এবং দরজায় অন্য একটি তালা মেরে রেখে দেয়। সারাদিন ইয়াসমিনের রুমে কে বা কাহারা আসা যাওয়া করেছে তা মোহাম্মদ আলীর সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে সংরক্ষিত থাকার কথা। ইয়াসমিন লোক মারফত সংবাদ শুনে সন্ধ্যায় মোহাম্মদ আলীকে ঘরের তালা ভাঙ্গার কারণ জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী কাউন্দিয়া মধ্যপাড়া আবু তাহেরের ছেলে সোহাগ ও মৃত জালাল পাটোয়ারীর ছেলে দিলুর সহযোগিতায় ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তার মধ্যে ইয়াসমিনকে গালিগালাজ সহ কিলঘুষি, চড়থাপ্পড় মারলে ইয়াসমিনের অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন ইয়াসমিনের সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এবং প্রশাসনের উপস্থিতিতে ইয়াসমিনের বাসা তালা খুলে ভেতরে অবৈধ কিছুই পাওয়া যায়নি। ইয়াসমিনের দাবি মতে তার কম্বলের ভিতরে লুকিয়ে রাখা জমি বিক্রয় বায়না বাবদ চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পাওয়া যায়নি।

ভোক্তাভোগী ইয়াসমিন অভিযোগ করেন,”আসামিরা আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণে মেরে ফেলবো মর্মে হুমকি প্রদান করছে। এমতাবস্থায় উক্ত বিবাদীগণের ভয়ে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। আমি আশঙ্কা করছি যে, উক্ত বিবাদীগণ ভবিষ্যতে যে কোন সময় আমার ও আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারে।” ভুক্তভোগী আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান এ বিষয়ে তদন্ত চলমান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন প্রদান করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *