
মুসা ও তার ভাইদের দাবি, ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার ষড়যন্ত্র চলছে
হাসিবুর রহমান শান্ত, সাভার প্রতিনিধি:
সাভারে কথিত ‘পাঁচ ভাইয়ের সন্ত্রাসী চক্র’ নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু অনলাইন মাধ্যমে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন মুসা ও তার ভাইয়েরা।
তাদের ভাষ্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে পাঁচ ভাইয়ের তরফ থেকে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলা হয়, “আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বিতর্কিত করতেই এই অপচেষ্টা।”
“আমরা রাজনীতির সঙ্গে, সমাজসেবায় আছি”
মোশারফ হোসেন মুসা জানান, তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী , বরং স্থানীয়ভাবে ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমরা কখনোই কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। একটি বিশেষ মহল আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে।”
রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে
একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মুসা ও তার ভাইয়েরা একসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং বর্তমানে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করছেন। এ প্রসঙ্গে মুসা বলেন, “আমরা বড় পরিবার, আমাদের সঙ্গে অনেক মানুষের সামাজিক যোগাযোগ রয়েছে। সেটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে আমাদের ‘মাফিয়া’ বানানো হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত না থাকলেও আমাদের নিয়ে বারবার বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো তদন্তে কোনো অপরাধের প্রমাণ মেলেনি।”
মুসার ছোট ভাই তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মেহেদী হাসানবলেন, “আমরা যদি সত্যিই কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত হতাম, তাহলে প্রশাসন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিত। এখন পর্যন্ত প্রশাসন আমাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি, কারণ কোনো অপরাধেই আমরা জড়িত নই।”
স্থানীয়দের মতে, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ক্যাম্পেইন
সাভারের একাধিক স্থানীয় বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ ধরনের খবর সম্প্রতি ফেসবুক ও কিছু অনলাইন পোর্টালে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এসব খবরের সত্যতা নিয়ে তারা সন্দেহ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “যে খবরগুলো ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলোকে যাচাই না করে বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। মনে হচ্ছে, এটি আসন্ন স্থানীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিকল্পিত একটি ক্যাম্পেইন।”
আরেকজন বলেন, “মুসা ভাইদের আমরা বহু বছর ধরে চিনি। তারা ব্যবসা ও সামাজিক কাজে জড়িত। এভাবে তাদের হঠাৎ করে সন্ত্রাসী বানানোর বিষয়টি সন্দেহজনক।”