সাভারে ‘মুসা বাহিনী’ নিয়ে অপপ্রচার: বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণ?

স্টাফ রিপোর্টার | সাভার, ঢাকা |

সাভারের হেমায়েতপুরকে ঘিরে সম্প্রতি ‘মুসা বাহিনী’ নামে একটি চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে কিছু অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। তবে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর দাবি করে পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা।

১. চাঁদাবাজির অভিযোগ ভিত্তিহীন

স্থানীয় অস্থায়ী দোকানদার ও ব্যবসায়ী নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কারও কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং দোকান বসানোর ব্যবস্থাপনা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় তারা স্বেচ্ছায় সামান্য অর্থ প্রদান করেন।

ব্যবসায়ী ইউনুস আলী বলেন,

প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা চাঁদা তোলার যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। আমরা নিজেরাই ব্যবস্থাপনা খরচের জন্য কিছু টাকা দেই, কিন্তু এটাকে চাঁদাবাজি বলা ঠিক নয়।”

২. রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন মুসা ও তার পরিবার

স্থানীয়দের অভিযোগ, যারা এখন “মুসা বাহিনী” নিয়ে সরব, তারাই আগে মুসা ও তার ভাইদের ব্যবহার করে সুবিধা নিয়েছে। এখন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

হেমায়েতপুরের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন,
সরকার বদলের পর বিএনপি ঘনিষ্ঠ কিছু লোক এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। তারা এখন আওয়ামী লীগপন্থী লোকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।”

৩. বিদ্যালয় ও হাসপাতালের জমি দখলের অভিযোগ মিথ্যা

হেমায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবক জানিয়েছেন, স্কুল মার্কেট ও আশপাশের দোকান বরাদ্দ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে হয়েছে। চাঁদা নয়, বরং এসব দোকান থেকে আদায়কৃত অর্থ রশিদের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন তহবিলে জমা হয়।

একজন শিক্ষক জানান,স্কুলের নামে চাঁদা তোলার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বরাদ্দপ্রাপ্ত দোকানদাররাই উন্নয়ন খাতে অনুদান দেন।”

৪. ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য

ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বলেন, “যে সকল ব্যক্তি লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করতেন, তাদের বিরুদ্ধেই প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা এখন নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।”

৫. পুরনো মামলার পুনরায় ব্যবহার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

যেসব অস্ত্র ও হত্যা মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হচ্ছে, সেগুলো বহু বছর আগে নিষ্পত্তি হয়েছে। আদালত থেকে জামিন ও খালাসপ্রাপ্ত হওয়ার পরও এখন এসব মামলা পুনরায় সামনে এনে চরিত্র হননের চেষ্টা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *