নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাভার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ দরিয়াপুরের কৃতি সন্তান, ছাত্রদল রাজনীতির মাঠে সুপরিচিত নাম মোশারফ হিমেল খান। ঢাকা জেলা ছাত্রদল (উত্তর)-এর সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক পাঠাগার-বিষয়ক সম্পাদক এই নেতা দীর্ঘদিন ধরেই মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয়। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন সাহসী কর্মী, যিনি প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার,
তবু আপসহীন দলের জন্য বারবার মামলা, হামলা ও হয়রানির শিকার হন মোশারফ হিমেল খান। জানা যায়, তার বিরুদ্ধে ২২টিরও বেশি মামলা রয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, “ঢাকা জেলা ছাত্রদলের ইতিহাসে এতো বেশি নির্যাতিত ও মামলা মোকদ্দমায় জর্জরিত নেতা আর নেই।”
পুলিশি হয়রানির কারণে অনেক সময় তাকে এলাকা ও পরিবার ছেড়ে থাকতে হয়েছে। তবুও তিনি দলের কর্মসূচি ও আন্দোলনে কখনো পিছিয়ে যাননি।
সাহসী ভূমিকা
দলের দুর্দিনে অনেক নেতা ভয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো বক্তব্য দিতেন না। কিন্তু হিমেল খান নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সব সময় দলের পক্ষে সরব থেকেছেন। বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মসূচি প্রচারে তিনি ছিলেন অন্যতম সাহসী কণ্ঠ।
ঢাকায় দলের প্রোগ্রামে যোগ দিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে যাওয়ার সময় একাধিকবার পুলিশি হয়রানির শিকার হন তিনি। গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রোগ্রামে যাওয়ার পথে পুলিশ তাকে ও তার কর্মীদের বাসসহ আটক করে সাভার মডেল থানায় নিয়ে যায়—এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
তৃণমূলে জনপ্রিয়তা
আন্দোলনের দিন হোক বা রাত, কর্মীরা আহত হলে তিনি নিজে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। একাধিকবার আহত কর্মীদের চিকিৎসা খরচও ব্যক্তিগতভাবে বহন করেছেন। ছাত্রদল কর্মীদের কাছে তিনি শুধু নেতা নন, একজন অভিভাবকও।
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতে, “যখন ছাত্রদলে ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছিল, তখনও হিমেল ভাই মাঠে ছিলেন। সাহস না থাকলেও তার কর্মীরা তার ডাকে সাড়া দিতেন। তিনি মাঠে না থাকলে আন্দোলন দুর্বল হয়ে যেত।”
মূল্যায়নের দাবি
নেতাকর্মীদের দাবি, এত ত্যাগী ও সাহসী ছাত্রনেতার যথাযথ মূল্যায়ন করা জরুরি। তাদের ভাষায়, “যিনি নিজের পরিবার ছেড়ে দলের জন্য বছরের পর বছর কষ্ট সহ্য করেছেন, তাকে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে সম্মান জানানো উচিত। আমরা চাই, সাভার পৌর ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে মোশারফ হিমেল খানকে দেখতে।”
আলোচনার জন্ম
দলের অভ্যন্তরে আলোচনা চলছে—যেসব নেতা দুঃসময়ে নীরব থেকেও আজ সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন, সেখানে সাহস ও ত্যাগের প্রতীক মোশারফ হিমেল খান এখনো কাঙ্ক্ষিত মূল্যায়ন পাননি। তৃণমূলের মতে, তার মতো ত্যাগী নেতার হাতে দায়িত্ব তুলে দিলে ছাত্রদল আরও শক্তিশালী হবে, আন্দোলনও পাবে নতুন গতি।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ ছালেহ আহম্মেদ, বার্তা সম্পাদকঃ ইমরান হোসেন রুবেল
ঠিকানাঃ 166/22, ভাগলপুর, সাভার, ঢাকা-1343। যোগাযোগঃ 01642414393
Copyright © 2024 মাতৃ নিউজ :Matri News. All rights reserved.