
নিজস্ব প্রতিবেদক
অর্থের অভাবে চিকিৎসা থেমে গেছে কিডনি রোগে আক্রান্ত মো: জবে আলমের (৬০)। স্বামীর চিকিৎসার টাকা যোগাড়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বৃদ্ধ স্ত্রী সুরাইয়া বেগম। পরিবারে যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরার অবস্থা, সেখানে স্বামীর কিডনি পরিবর্তনের এত টাকা যোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবারটি।
মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের উত্তর সেলামতি বড়পাড়া গ্রামের মৃত দুর্জন আলী হাওলাদারের ছেলে মো: জবে আলম (৬০)।
চিকিৎসার খরচ প্রায় ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন হলেও তাদের নিজের শেষ সম্বল জমি বিক্রি করলে মাত্র ৪/৫ লাখ টাকা জোগাড় করা সম্ভব হবে।
কিডনি রোগে আক্রান্ত জবে আলম স্থানীয় উত্তর সেলামতি বড়পাড়া মাদ্রাসার সামনে সিঙ্গারা-পুড়ি-পরাটা বিক্রি করে কোনোমতে সংসার চালান। বর্তমানে অভাবের তাড়নায় তার ব্যবসাও থেমে গেছে। ওষুধ খেতে হয় প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা লাগে। জবে আলমের ছেলে সাইফুল আলম বাপ্পি এতদিন কিছু খরচ চালালেও প্রবাসে ধরা খেয়ে দেশে ফিরে বর্তমানে বেকার, এছাড়া তারও আলাদা সংসার রয়েছে। বাবার চিকিৎসা ব্যয় চালাতে ইচ্ছা থাকলেও অর্থনৈতিকভাবে অক্ষম তিনি।
অসুস্থ জবে আলম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন স্থানীয় মসজিদে। বর্তমানে ইবাদাত বন্দেগির মাধ্যমে শুধু আল্লাহকে ডাকছেন তিনি।
জানা গেছে, গত কিছুদিন আগে হঠাৎ জ্বর আসে তার। এরপর বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েও জ্বর ভালো হয়নি। পরে এক আত্মীয়ের সহায়তায় গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখা যায় তার দুই কিডনিই বিকল। এরপর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও কিডনি বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাহিদ হাসান জানিয়েছেন, তার দুইটি কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তার কিডনি পরিবর্তন করতে হবে।
নিকট আত্মীয় রিফাত আহমেদ বলেন, অসুস্থ জবে আলম আমার দাদার ছোট ভাই, তিনি খুব ভালো মানুষ। গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত। তিনি মধ্যবিত্ত, তার রোগ অনুযায়ী এখন অসহায়। তার পাশে সবাইকে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।
অসুস্থ জবে আলম বলেন, হঠাৎ জ্বর থেকে জানতে পারি আমার দুইটি কিডনি ড্যামেজ। ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ অকেজো হয়ে গেছে। চিকিৎসক বলছেন কিডনি পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু আমি টাকার অভাবে অসহায় হয়ে পড়েছি, এত টাকা কোথায় পাবো। প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার ওষুধ খেতে হয়। চিকিৎসক মাসে ২ বার ডায়ালাইসিস করার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিবার ডায়ালাইসিসসহ রক্ত বাবদ ৫ হাজার টাকা লাগবে। তাই সমাজের বিত্তবানদের সাহায্যের জন্য আকুল আবেদন করছি।
ছেলে সাইফুল আলম বাপ্পি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, অর্থের অভাবে আমার বাবার চিকিৎসা করাতে পারছি না। বিদেশ থেকে নিঃস্ব হয়ে ফিরে এসেছি। বাবা পুরোপুরি অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমি সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছি। আমার কিছুই নাই, এই সময়ে এসে আমি আর পারছি না। আমার বাবার পাশে দাঁড়িয়ে একটু সাহায্য করেন।
স্ত্রী সুরাইয়া বেগম বলেন, আমার স্বামীর দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে, চিকিৎসকদের কাছ থেকে এ কথা শোনার পর চিকিৎসা ব্যয় আমাদের পরিবারের সাধ্যের বাইরে হওয়ায় আমরা ভেঙ্গে পড়েছি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে সুস্থ করে তুলতে এই মুহূর্তে আমাদের প্রায় ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন। আমাদের শেষ সম্বল অল্প জমি রয়েছে, সেটি বিক্রির কথা চলছে, এখন পর্যন্ত সেই জমির মূল্য হিসেবে ৪/৫ লাখ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি চিকিৎসা ব্যয়ের যোগান দিতে দেশ ও বিদেশের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ করছি আমার স্বামীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
📞 যোগাযোগ : [017792-95456 (জবে আলম) এবং 01910187538 (রিফাত) ]
📲 বিকাশ : [017792-95456]
🏦 ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, কলেজ গেট শাখার অ্যাকাউন্ট নং : [AC NO : 20504350201095700]