নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হান্নানকে বদলি করানোর পেছনে আওয়ামী লীগপন্থী সন্ত্রাসী ও স্বার্থান্বেষী একটি মহলের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে “সময়ের কণ্ঠস্বর ডটকম” নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত তিন পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে এই ষড়যন্ত্র নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
গত ৩০, ৩১ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে ওসি হান্নানের বিরুদ্ধে ঘুষ, হয়রানি ও চাঁদাবাজির নানা অভিযোগ তোলা হয়। তবে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা বলে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
জানতে চাইলে ওসি হান্নান বলেন, “আমি একজন পেশাদার পুলিশ কর্মকর্তা। আমার আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ ভুয়া ও কাল্পনিক। একটি চক্র প্রতিহিংসা চরিতার্থের উদ্দেশ্যে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
তিনি জানান, আশুলিয়া থানায় যোগদানের পর থেকে তিনি নিষিদ্ধ কার্যক্রম ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের ৩ শতাধিক প্রভাবশালী নেতাকর্মী ও অর্থ যোগানদাতাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছেন। পাশাপাশি থানার আশপাশে সক্রিয় দালাল ও চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে জনগণের কাছে পুলিশি সেবা সহজ করেছেন।
ওসি হান্নানের এই কঠোর অবস্থানের কারণেই এক শ্রেণির প্রভাবশালী মহল তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, থানার ভেতরের কিছু সংক্ষুব্ধ সদস্য এবং মাদক ও চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে তাঁকে বদলি করানোর পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
🔹 অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতি পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে আওয়ামী লীগপন্থী কিছু সাংবাদিক এই প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে ওসি হান্নানের ভাবমূর্তি নষ্ট করে তাঁকে বদলি করানোর জন্য এই মহল একযোগে কাজ করছে।
জনসাধারণের দাবি, “যদি এমন একজন সৎ ও কর্মঠ কর্মকর্তা আশুলিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহভাবে অবনতি ঘটবে।” স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবীরা বলেন, তাঁর নেতৃত্বে থানার সেবার মান বেড়েছে এবং অপরাধ দমনেও এসেছে দৃশ্যমান সাফল্য।
তারা আরও জানান, কিছু রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে এখন ওসিকে বদলি করানোর জন্য তৎপর। অথচ এই কর্মকর্তা পেশাদারিত্ব ও সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
জনমনে প্রশ্ন উঠেছে — “যে কর্মকর্তা অপরাধ দমন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন, তাঁকে সরিয়ে দিলে এর পেছনে কার স্বার্থ রক্ষা পাবে?”
সচেতন মহল মনে করছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিত হবে ওসি মোঃ আব্দুল হান্নানকে আশুলিয়া থানায় বহাল রাখা, যাতে চলমান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে এবং অপরাধীচক্রের অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়।