সাভারে বংশী নদী রক্ষায় রাশেদুল আহসান রাশেদের নেতৃত্বে নতুন উদ্যোগ, দখলদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাভার, ঢাকা

ঢাকার প্রাণখ্যাত নদী বংশী এখন হুমকির মুখে—অবৈধ দখল, দূষণ ও অনিয়মিত ড্রেজিংয়ে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ও পরিবেশগত ভারসাম্য দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে নদী রক্ষায় ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী জনাব রাশেদুল আহসান রাশেদ সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। সচেতনতামূলক সমাবেশে দখলদারদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি প্রদান করে
সম্প্রতি সাভারে এক গণজমায়েতে তিনি বলেন:
”বংশী নদী আমাদের জীবনধারা, আমাদের গর্ব। দখলমুক্ত নদীই হবে আগামী প্রজন্মের বাঁচার শ্বাস। আমরা কোনোভাবেই অবৈধ দখলদারদের ছাড় দেব না।”

তিনি স্পষ্ট করে জানান, নদী রক্ষা এখন শুধু প্রশাসনের দায়িত্ব নয়, এটি প্রতিটি সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, জনগণের শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে একটি সম্মিলিত আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, যা অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে বাধ্য করবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বংশী নদীর তীর দখল করে সেখানে গড়ে তুলেছে অবৈধ স্থাপনা, দোকানপাট এমনকি শিল্প কারখানা। এতে নদীর স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হচ্ছে, মাছ ও জলজ জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে এবং বর্ষাকালে প্লাবনের ঝুঁকিও বাড়ছে।

একজন স্থানীয় কৃষক বলেন, আগে বংশী নদীর পানি দিয়ে চাষ করতাম, এখন পানি পচা, নদীর পাড় দখল হয়ে গেছে, মাছও নেই।

পরিবেশবিদদের সাড়া বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) এক প্রতিনিধির মতে, বংশীর মতো নদীগুলো রক্ষায় স্থানীয় নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ। জনাব রাশেদুল আহসান রাশেদের মতো নেতৃত্ব যদি সক্রিয় হন, তাহলে আমরা পরিবেশ আন্দোলনে একটা নতুন গতি পেতে পারি।”

রাজনীতিতে যখন ব্যক্তি স্বার্থ ও ক্ষমতার লড়াই বেশি আলোচিত, ঠিক তখন নদী রক্ষা নিয়ে একজন রাজনীতিকের সরব হওয়া নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বার্তা দেয়। জনাব রাশেদের এই ভূমিকা শুধু পরিবেশ নয়, জনগণের মৌলিক অধিকার—পরিবেশে নিরাপদে বসবাস—সেই অধিকার রক্ষার প্রচেষ্টার অংশ।

আগামী দিনের ঘোষণাসমাবেশে রাশেদুল আহসান রাশেদ ঘোষণা দেন, যদি আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারি, তবে প্রথম কাজ হবে বংশী নদীর পূর্ণ দখলমুক্তকরণ ও নদীর পরিবেশ পুনরুদ্ধারে কার্যকর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।”

তিনি স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, নদী রক্ষা কমিশন এবং গণমাধ্যমকে আহ্বান জানান—একযোগে কাজ করার জন্য।

বংশী নদী শুধু একটি জলাধার নয়; এটি এই অঞ্চলের অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং পরিবেশের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জনাব রাশেদুল আহসান রাশেদের নেতৃত্বে নতুন এই উদ্যোগ জনগণকে নতুন করে নদী রক্ষার আশায় উজ্জীবিত করেছে।
নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে, আর দেশ বাঁচলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাবে এক টেকসই ভবিষ্যৎ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *