মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
বক্তারা ঠাকুরগাঁও জেলাসহ সারা দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এ সকল কাজের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা সেই সাথে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। ৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য “দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল” গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্থদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, অনতিবিলম্বে “সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন” প্রণয়ন করা, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন করা, সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ, সংস্কৃত ও পলি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটি ও পাশাপাশি প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান প্রধান ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় ছুটি প্রদানের দাবি।
৫ আগষ্ট থেকে উত্তরবঙ্গ সহ সারাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ৮ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করা হয়। ২ সেপ্টেম্বর সোমবার ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে অংশগ্রহনকারীগণ শহরের অপরাজেয়-৭১ প্রাঙ্গনে জড়ো হয়। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আয়োজনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও বুয়েটের শিক্ষার্থী অন্তু রায়, সমন্বয়ক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুকান্ত চন্দ্র বর্মন, সোহওয়ার্দি মেডিকেল কলেজের সহ সমন্বয়ক অপু দেবনাথ, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ সমন্বয়ক জয়িতা বিশ্বাস, সংগঠনের সমন্বয়ক হৃদয় চন্দ্র সরকার, সমন্বয়ক সুস্মিতা কর, ঠাকুরগাঁও জেলার সহ সমন্বয়ক মুকুল চন্দ্র বর্মন, উজ্জ্বল সিনহা প্রমুখ।