নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধি : মোঃ মশিউর রহমান রাসেল
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নে ইলেন ভুট্টো মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফাইল হাতিয়ে নেবার সময় সহকারী শিক্ষকের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে সভাপতি হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ কে হাতেনাতে স্কুলের শিক্ষকরা ধরে এনে স্কুলের লাইব্রেরিতে বসিয়ে রাখে। এরপর ঘটনামোড় নেয় ভিন্ন দিকে! সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ও যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, আরো বেশ কয়জন বিএনপি ও যুবদল নেতা বসে এর রহস্য জানতে চান।তখন সহকারী শিক্ষক মাওলানা রব হাওলাদার জানান আমি সাবেক সভাপতির কাছ থেকে ৩ জন কর্মচারীর উচ্চতর স্কেলের রেজুলেশন আনতে যাই তিনি স্বাক্ষর করলেও সাবেক প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ রেজুলেশন খাতা আটকে দেয়। এক পর্যায়ে তাদের কাছে খাতা চাইলে জোড় পূর্বক সাবেক প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান মোল্লা রেজুলেশন খাতা নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক পালিয়ে যেতে পারেনি ততখনে অত্র স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীরা মিলে তাকে স্কুলে নিয়ে আসা হয় রেজুলেশন খাতা উদ্ধারের উদ্দেশ্যে।এরপর নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মুঠোফোনে দেওয়া দিক নির্দেশনায়। উদ্ধার হয় রেজুলেশন খাতা পরবর্তী সমস্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন ও মুচলেকা দেন সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ সুলতান আহমেদ। স্থানীয় সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদ খান ও যুগ্ন সম্পাদক আঃ রব জলিলের উপস্থিতিতে এই মুচলেকা দিয়ে রেজুলেশন খাতা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের হাতে তুলে দেয়া হয়। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন। তিনি স্কুল থেকে বিদায় নিলেও আমাকে কোন কিছু বুঝিয়ে দেননি। তিনি এর আগে নিয়োগ বানিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক তারা দুজনে মিলেই বিভিন্ন সময় নিয়োগবানিজ্য করে আওয়ামীলীগের সাথে ভাগবাটোয়ারা করে চলতেন। বলে অভিযোগ করেছেন স্কুলের এই শিক্ষক। সরেজমিনে জানা যায় সাবেক এই প্রধান শিক্ষক তিনি চাকরিরত অবস্থায়ই তিনি সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক হন, তিনি এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন। জনমনে তখন থেকেই প্রশ্ন ছিলো তিনি একজন শিক্ষক হয়ে কিভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সাধারন সম্পাদক হয়! ওই ঘটনার পরে জনমনে প্রশ্নের দানা বেঁধেছে বর্তমান সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক সুলতান আহমেদ কে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাইব্রেরিতে বসিয়ে রেখে তার মুচলেকা নেয়া হলো একই সংগঠনের সভাপতি ও যুগ্নসম্পাদক! ঘটনা যেহেতু সত্য তাহলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আইনের মাধ্যমে তারা ব্যবস্থা নিতে পারে এটা তাদের এখতিয়ার। কিন্ত এখানে অনেকেই মনে করছেন রাজনৈতিক ভাবে একজনকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই শুরু থেকেই তারা আইনের আশ্রয় নেননি।একজন দায়িত্বশীল ব্যাক্তি সভাপতি শহিদ খান ও যুগ্ন সম্পাদক আঃ রব জলিল এবং পারভেজ মাস্টার এই ঘটনা ঘটিয়ে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন বলে মনে করছেন সাধারন মানুষ। কেউ অন্যায় বা অপরাধ করলে তার জন্য দেশের আইন রয়েছে তারা তার ব্যবস্থা নিবে। কিন্ত এখানের চিত্রটা ভিন্ন কেন প্রশ্ন জনমনে। প্রসঙ্গত ইলেন ভুট্টো বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ৩০ আগস্ট তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্ত তার পিএফ ফান্ডের টাকা উত্তোলন করতে যেসব ডকুমেন্টস দরকার সেগুলো দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন সাবেক প্রধান শিক্ষক। যে কারনেই তিনি রেজুলেশন খাতা আটকে তার কাগজপত্র আদায় করতে চেয়েছিলেন বলে জানান। এদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান তিনি আমাকে সমস্ত চার্জ বুঝিয়ে না দিয়েই স্কুল ছেড়েছেন এবং তার কাছে শিক্ষকদের টিউশন ফি রয়েছে যেটা তিনি দেননি সেটা দিলে আমরা ডকুমেন্টস দিতাম।